ক্ষেতমজুর সমিতির বিক্ষোভ ও কেন্দ্রীয় সভা

গ্রামীণ বরাদ্দ লুটপাট বন্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈষম্যবিরাধী গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পার হয়ে গেলেও ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুররা চরম বৈষম্যের শিকার। অথচ এই গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে গরিব মেহনতি মানুষের। নেতৃবৃন্দ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফসলও লুট হয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, ক্ষেতমজুরসহ গ্রাম শহরের গরিব মানুষকে আবার নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে রাজপথে নামতে হবে। গত ১৫ নভেম্বর সকালে মুক্তিভবনে অনুষ্ঠিত সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে পল্লী রেশনিং চালু, ষাটোর্ধ্ব মজুরদের বিনা জামানতে মাসিক ১০ হাজার টাকা পেনশনের দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ গ্রামীণ বরাদ্দ বাড়ানো ও লুটপাট বন্ধের দাবি করেন। একইদিনে, ক্ষেতমজুরদের বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে সংগঠনটি। সমাবেশে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার, আন্দোলন সংক্রান্ত আলোচনা করেন কার্যকরী সভাপতি অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক কল্লোল বণিক। রিপোর্টের ওপর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রামে অসংখ্য বয়ষ্ক দরিদ্র মানুষ বয়ষ্ক ভাতা পাননি ঘুষ না দিতে পারার কারণে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেন না তাঁরা। এছাড়া এনজিও ঋণের জালে আটকা পড়ে অনেকে সময় হতাশ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন কেউ কেউ। নেতৃবৃন্দ বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, সকল বয়ষ্ক ও বিধবা মহিলাদের সংখ্যা এবং ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতীতে হাওর-বাঁওড়সহ খাল জলাশয়ে দরিদ্র মৎসজীবীরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করলেও ইজারার নামে সরকার এসব জলাশয় বড়লোকদের দিয়ে দিয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীরা বেকার হয়ে অন্য পেশায় গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ হাওর, বাঁওড়সহ খাস জলাশয়ের ইজারা বাতিল করে সমাজভিত্তিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। সভায় আগামী ১ ডিসেম্বর ‘দাবি দিবস’, ৭-১৩ ডিসেম্বর দাবি সপ্তাহ, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। মিছিল, সমাবেশ, হাটসভা, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে দাবি দিবস পালন করা হবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি পরেশ কর, দেলোয়ার হোসেন, হারুন আল বারী, সদস্য মোজাহারুল হক, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, শ্রীকান্ত মাহাতো, অ্যাড. চিত্তরঞ্জন গোলদার, হাফিজার রহমান, আবুল হোসেন, এমদাদুল হক মিলন, আমিনুল ইসলাম পিপুল, গোলাম ফারুক, আব্দুর রউফ, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল আউয়াল, মাসুদ ইবনে শফিক, আব্দুল মজিদ, সুজন বিপ্লব, জসিমউদ্দিন আহমেদ, দুলাল বিশ্বাস প্রমুখ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..