আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ে বাম জোটের প্রতিক্রিয়া

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের দাবি বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের। যে কোন হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী অপরাধীদের বিচার প্রতিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের কাম্য। ফলে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারী পরিবার যেমন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে আমরাও দেশবাসীর অংশ হিসেবে স্বচ্ছ সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিক্টিম পরিবার এবং অভিযুক্ত উভয়েই যাতে ন্যায় বিচার পায় সে দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। ফলে বিচারের রায়ে প্রমাণ হয়েছে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় রাজধানীর তোপখানা রোডে বাসদ কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিচারিক প্রক্রিয়া যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোন ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং আপিল ও রিভিউসহ বিচারের সকল ধাপ যেন সুষ্ঠু স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করা হয় সে আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, আদেশ দাতাদেরকে যেখানে সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির অভিযোগে ক্যাপিটাল পানিসমেন্ট দেওয়া হয়েছে সেখানে আদেশ পালনকারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান আইজিপিকে রাজস্বাক্ষী বানিয়ে মাত্র ৫ বছরের সাজা দেওয়া শহীদ পরিবার যেমন মেনে নেয়নি তেমনি বাম জোটের পক্ষ থেকে আমরাও এটাকে গ্রহণ করতে পারিনি। তাছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের এত এভিডেন্স ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ডিভাইসে রয়েছে এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও বলা হয়েছে তাদের কাছেও বহু এভিডেন্স রয়েছে, সরকার চাইলে তারা দেবে। ফলে এই মামলায় রাজস্বাক্ষীর কোন প্রয়োজন ছিল না। প্রস্তাবে সাবেক আইজিপি’র বিচারের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করার আহ্বান জানানো হয়। না হলে পুলিশ-আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভবিষ্যতে আরো বেপরোয়া হয়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে রাজস্বাক্ষী হয়ে পার পেয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। এদিন সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)-র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করাসহ সকল দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয় সভা থেকে। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠতে গেলে অন্তত একবার হলেও চিন্তা করবে বলে মন্তব্য জোটের নেতাদের।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..