গাজা হত্যাকাণ্ড : মূল হত্যাকারীদের
আড়াল করার নতুন প্রচেষ্টা
কানাই দাশ

১৯১৮ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফুর প্যালেষ্টাইনের আরব অধ্যুষিত অঞ্চলে ইহুদিদের জন্য একটি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত প্রথম ঘোষণা করেন। এটাই কুখ্যাত “বেলফুর ঘোষণা” নামে পরিচিত। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পুঁজিবাদী দুনিয়ার তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্বে ফ্যাসিবাদের উত্থান, ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী র্পুজিবাদী বিশ্ব অর্থনীতির নজিরবিহীন সংকট ও মন্দা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত পুঁজিবাদী বিশ্ব তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থের পাহারাদার হিসাবে ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ১৯৪৮ সালে এসে প্যালেষ্টাইনের আরব অধিবাসীদের জোরপূর্বক নৃশংসভাবে সরিয়ে ১৯১৮ সালের বেলফুর ঘোষণার..
বিস্তারিত
আগত যুদ্ধই যেন হয় শেষ যুদ্ধ
হিমাংশুদেব বর্মণ
পরাজিত শক্তির উত্থান কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। প্রশ্ন আসতে পারে হঠাৎ কেন এ কথা বলছি। না, হঠাৎ বলিনি আমি এ কথা। দেশের চলমান পরিস্থিতি বলছে যা, আমিও তা-ই বলছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার উপদেষ্টামণ্ডলী দিয়ে যা খুশি তা-ই করাচ্ছেন। নিজেও করছেন। ধানাই-পানাই কাজের সাথে ছক্কা-পাঞ্জা কথাও বলছেন যথেষ্ট। ক্ষমতায় বসেই নিজের নামে ঝুলে থাকা মামলা থেকে ছাড় নিয়ে নিলেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের বকেয়া ভ্যাট আটশো কোটি টাকা মওকুফ করিয়ে নিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে থেকেই নতুন..
বিস্তারিত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তরঙ্গায়িত বিভ্রান্তি
আ. রিয়াজ

সরকার পরির্তনে দুনিয়ার সামনে নতুন মডেল হিসেবে বিশ্বমঞ্চে হাজির হয়েছে আরব বসন্ত। এই আরব বসন্ত দুনিয়াব্যাপী বড় ধাক্কা দেয় গত দশকে। যদিও এর আগেও এমন আরব বসন্ত বা ক্লাসিক মন্তব্য কালার রেভুলেশন হিসেবে বিভিন্ন দেশে এরকম আন্দোলন ঘটেছে। এশিয়ায় সম্ভবত বড় কালার রেভুলেশনটি ছিল থাইল্যান্ডে ২০০৬ সালে। লাল শার্ট নামে এই আন্দোলনে থাকসিন সিনাওয়াত্রা পদত্যাগ করেন ও পালিয়ে যান। তবে ২০১০ সালে তিউনিশিয়ার ঘটনাই সম্ভবত বেশি প্রভাবিত করেছে দুনিয়াব্যাপী। ২০১০ সালে তিউনিসিয়া থেকে সূচনা হওয়া এই আন্দোলন তরঙ্গাকারে ছড়িয়ে পড়ে..
বিস্তারিত
গাজায় কী চলছে, যুদ্ধ ধর্ম নাকি বাণিজ্য নিয়ে?
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতিদিন মরছে নিরস্ত্র মানুষ। ইসরায়েলিদের বিধ্বংসী বোমা হামলায় আকাশে কাগজের ন্যায় উড়ছে মানবদেহ। এই বিশ্ব কি কখনো এ ধরনের বীভৎস হত্যাকাণ্ড দেখেছে? ইতোপূর্বে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর বুকে ঘটেনি। একে সংঘাত বা যুদ্ধ বলা যায় না, এটা এক ধরনের রক্তপিপাসু খেলা। লোভী উন্মাদ অর্থ পিপাসুরা মানুষের জীবনকে উড়িয়ে দিচ্ছে বোমার আঘাতে। এরমধ্যে লুকায়িত আছে অর্থ লাভের লিপ্সা। মানুষ কতটা জানোয়ার হলে বাণিজ্যের জন্য এ ধরনের খেলা খেলতে পারে তা ভাবলেও শরীর শিউরে উঠে। এটাই হচ্ছে পুঁজিবাদের..
বিস্তারিত