রপ্তানিমুখী ফসল পানের চাষাবাদ ও পানচাষিদের বাঁচানোর দাবি

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
যশোর সংবাদদাতা : সরকার প্রতি কেজিতে পানে রপ্তানি শুল্ক এক ডলার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ ডলার নির্ধারণ করায় দেশে থেকে পণ্যটির রপ্তানি কমে গেছে। একই সঙ্গে পানের দরপতন ঘটেছে। এতে দেশের পানচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে জন্য রপ্তানিমুখী ফসল পানের চাষাবাদ ও পানচাষিদের বাঁচানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পান চাষি সমিতির নেতারা। গত ১৯ নভেম্বর দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে ১০ দফা দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পান চাষি সমিতির যশোর শাখার নেতারা এই স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের অনেক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরি ফসল পান। এটি চাষের সঙ্গে পানচাষি ছাড়াও খেতমজুর, পাটকাঠি, বাঁশ ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত। বাংলাদেশের পান মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। এর মাধ্যমে বছরে দেশের ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি কেজি পান রপ্তানিতে শুল্ক ১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ ডলার নির্ধারণ করায় বিদেশি বাজারে দেশের পান রপ্তানি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এতে দেশে পানের দর ব্যাপকভাবে কমে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যাংক ও এনজিও ঋণের চাপেও অনেক চাষি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পান চাষি সমিতির ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পান রপ্তানিতে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল ও রপ্তানিবান্ধব নীতি গ্রহণ; আপৎকালে পানচাষিদের এনজিও ঋণের কিস্তি স্থগিত করা; পান চাষনির্ভর খেতমজুরদের ত্রাণসহায়তা প্রদান; রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি পানচাষিদেরও প্রণোদনা দেওয়া; পান চাষের উপকরণের দাম কমানো; পান গবেষণা কেন্দ্র, আধুনিক সংরক্ষণাগার ও পানশিল্প কেন্দ্র গড়ে তোলা; চাষিদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রশিক্ষণ; পানবরজের জমির অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া বন্ধ; পান চাষে বিমা চালু এবং জাতীয় পান বোর্ড গঠন।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..