সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে

শাহবাগে উফডির সংহতি সমাবেশ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

রাজধানীর শাহবাগে ফিলিস্তিনি ভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স
একতা প্রতিবেদক : ৪৮তম ফিলিস্তিনি ভূমি দিবসে বিশ্ব গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের আহ্বানে বাংলাদেশে গত ৩০ মার্চ ফিলিস্তিন সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। ঢাকার শাহবাগে বিকাল ৪ টায় সমাবেশ শুরু হয়। বিশ্ব গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (উফডি) জেনারেল কাউন্সিল সদস্য বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান তারিক চৌধুরী, উফডির ভেটেরান সদস্য হাফিজ আদনান রিয়াদ, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান, জাতীয় যুবজোটের সভাপতি শরিফুল কবির, উফডির জিসি সদস্য বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সজীব, উফডি বাংলাদেশের সদস্য সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি দীপক শীল, সদস্য সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-জাসদের সভাপতি রাশেদুল হক ননী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য লাকী আক্তার প্রমুখ। সমাবেশ উফডি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হানউদ্দীন। সমাবেশে যুদ্ধবিরোধী গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পগোষ্ঠী এবং চারণ শিল্পীগোষ্ঠী। অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মদদে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের জনগণের উপর যে আগ্রাসন, গণহত্যা পরিচালনা করছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই। রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং দোসর ইসরায়েলকে পরাস্ত করতে হবে। গণহত্যাকারী ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার এবং আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার বিচার করতে হবে। রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যতটা সরব, গাজায় গণহত্যা নিয়ে ততটাই নীরব। এমনি প্রথমে তারা যুদ্ধবিরতিতেও ভেটো দিয়েছে। এই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে রুখে দিয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে। সভাপতি বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বলেন, আগামীদিনে আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের আন্দোলনে সংহতি জানাতে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করবো। বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন এবং দখলদারিত্বের প্রতিবাদে আমাদের প্রগতিশীল ছাত্র-যুব এবং রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সংহতি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উডফির সদস্য সংগঠন এবং বন্ধুপ্রতিম সংগঠনসমূহের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তির আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে আরব ভূখণ্ড চিরে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমাগত ফিলিস্তিনি ভূমি গ্রাস করে আসছে ইসরায়েলি দখলদার গোষ্ঠী। ১৯৭৬ সালে ভূমি দখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ছয় ফিলিস্তিনি যুবক শহীদ হন। পরবর্তীতে ফিলিস্তিনিরা ৩০ মার্চ এই দিনটিকে ভূমি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..