‘বিস্কুট’

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : একটি শিশুতোষ ছড়া আছে যা গ্রামের ছেলেমেয়েরা প্রায়ই সুর করে বলে- ‘আমরা দুটি ভাই, কলের গান গাই, দুই-চার আনা পয়সা দিলে, বিস্কুট কিনে খাই’। দুই-চার আনা দামের বিস্কুট এখন আর নিশ্চয়ই পাওয়া যায় না। বাজারে শত শত টাকা কেজি দরে এখন বিস্কুট বিক্রি হয়। ফলে দুই-চার আনা দিয়ে আর বিস্কুট পাওয়া যায় না- এটা সত্য। কিন্তু তাই বলে এক কেজি বিস্কুটের দাম যদি ৩ হাজার ৬০০ টাকা! এটা যে কারোর কাছেই অসম্ভব শোনাতে পারে। কিন্তু যদি ‘সব সম্ভবের দেশ’ বাংলাদেশে এই ঘটনা ঘটে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এই দেশে এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি বালিশের দাম ৬ হাজার ৭১৭ টাকা নিয়েছিল এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ব্যবহৃত একটি পর্দার দাম ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধরা হয়। সেই দেশে এক কেজি বিস্কুটের দাম তিন হাজার ৬০০ টাকা খুব বেশি না!! গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে মোট সাতবার বিস্কুট কেনা হয়। এর মধ্যে পাঁচবার প্রতি কেজি বিস্কুট কেনা হয় ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। বাকি দুবার কেনা বিস্কুটের দাম পড়ে প্রতি কেজি ৩ হাজার ২০০ টাকা। শুধু তাই নয়। ডিএনসিসিতে এক কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। সেই টাকা এসেছে প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন বিভাগে বরাদ্দ দেওয়া ইমপ্রেস্টমানি থেকে। ওই দপ্তরে প্রতি মাসে বরাদ্দের পরিমাণই এক লাখ টাকা। অর্থাৎ ওই কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠান আয়োজনে দপ্তরের পুরো মাসের টাকা ব্যয় করা হয়। একটি জাতির উন্নতির নহর দেখাতে এসব খরচ খুবই জরুরি। সেই জরুরি কাজটিই জরুরিভাবে করে যাচ্ছে ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..