একতা প্রতিবেদক :
সাভার রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যাকান্ডের ১১ বছর পূর্তিতে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে গত ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে সকাল ১০ টায় রানা প্লাজা শহিদ বেদিতে নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শ্রমিক সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক নেতা ইদ্রিস আলী, খাইরুল মামুন মিন্টু, সাইফুল্লাহ আল মামুন, মঞ্জুরুল ইসলাম মনজু প্রমুখ।
রানা প্লাজা ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র উদ্যোগে জুরাইন কবরস্থানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে শ্রমিকনেতারা গত ২৪ এপ্রিল সকাল ৯ টায় ঢাকা জুরাইন কবরস্থানে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, রানা প্লাজা ধসে শ্রমিক হত্যার ১১ বছর আজ। শ্রমিক হত্যাকারী সোহেল রানা ও অন্যান্য অপরাধীদর আজও বিচার হয়নি। নিহত-আহতদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি, আহতদের ক্ষত এখনো শুকায় নি, স্বজনরা এখনো কাঁদছে। কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি। যার ফলে কারখানার অব্যবস্থাপনা-অবহেলা ও গাফিলতির কারণে একের পর দুর্ঘটনায় শ্রমিকদের প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডে অগ্নিকান্ডে ৫৪ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে। রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলা ও বিল্ডিং কোড সংক্রান্ত আইন ভঙ্গের মামলার আজও নিষ্পত্তি হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সরকারকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের স্থায়ী পুনর্বাসন, আহতদের মেয়াদী চিকিৎসা ও মানসিক ট্রমা থেকে মুক্ত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে। রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহত শ্রমিকদের স্মরণ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং ২৪ এপ্রিলকে শোক দিবস ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করারও দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।