
আমাদের বাসার সামনের গলিতেই আছে একটি অটোরিকশা গ্যারেজ, এক চায়ের দোকান ও একটি ছোট হোটেল। এই তিন জায়গায়ই তিনজন শিশু কাজ করে। ছেলেদের নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হলেই তারা দেখে–রাস্তার পাশে শিশুরা মায়ের সঙ্গে ইট-পাথর ভাঙছে, কেউ বাসে হেলপারি করছে, কেউ হোটেলে কাজ করছে, রাস্তায় ফুল বিক্রি করছে, ফুটপাতে কাগজ কুড়াচ্ছে, কেউ ড্যান্ডি খাচ্ছে, আবার কেউ ভিক্ষা করছে। এসব দেখে ওরা মন খারাপ করে, কষ্ট পায় এবং রাগ করে। সবকিছুর জবাব আমাকে দিতে হয়।
গত তিন বছর ধরে আমার দুই ছেলের {সব্যসাচী (১৭) ও সক্রেটিস (১১)} নানা প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে আমি প্রায় দিশেহারা। হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, মব, শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম, ভেজাল খাদ্য, সড়ক দুর্ঘটনা–আর কত কী! আর ফেসবুক তো আছেই–দেশে যা কিছু ঘটে, তা নিয়েও তাদের প্রশ্নের শেষ নেই। সরকার কী করে? মানুষ এমন কেন? মা-বাপগুলো এত খারাপ কেন? নেতারা কী করে? শুধু বক্তৃতা দেয়? ইত্যাদি ইত্যাদি।
গত রাতে ছোট ছেলে সক্রেটিসকে বললাম, ‘তুমি পড়াশুনা ঠিকঠাক মতো না করলে কাজে দিয়ে দিব।’ মুহূর্তেই ওর চোখে বিস্ময়, কণ্ঠে প্রতিবাদ– ‘তুমি একদিন বলেছিলে, শিশুশ্রম ভালো না। শিশুদের দিয়ে কাজ করানো ঠিক না।’ কথাটা শুনে আমি থেমে গেলাম। হ্যাঁ, সত্যি তো–আমরা প্রায়ই নীতির কথা বলি, মানবতার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে কতটা তা মানি? সক্রেটিসের সরল প্রশ্ন আমাকে ধাক্কা দেয়–শিশুশ্রম শুধু অর্থনৈতিক নয়, এটা নৈতিক ও রাজনৈতিক প্রশ্নও বটে।
শৈশব মানে আনন্দ, স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দিগন্ত। কিন্তু শিশুদের সেই শৈশব ভেঙে যায় ইটভাটা, কারখানা, কৃষি, নির্মাণশিল্প বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজের বোঝায়। যাদের হাতে থাকার কথা বই-কলম, সেই কোমল হাতেই থাকে হাতুড়ি, কুড়াল বা ইটের বোঝা। পথেঘাটে স্টেশনে কুলি-মজুরির কাজ, দোকানপাট, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, গাড়ির গ্যারেজে কাজ করছে তারা। এটি একটি জাতির লজ্জা, ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকি। দারিদ্র্য, অশিক্ষা এবং সামাজিক অসচেতনতার চক্রে আটকা পড়ে শিশুরা তাদের শৈশব হারিয়ে পুরো জীবনটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে।
শিশুশ্রম শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করে। কঠোর পরিশ্রম তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট করে, শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেয় এবং জীবনের সম্ভাবনাগুলোকে ধ্বংস করে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত শিশুদের দুর্ঘটনা, দীর্ঘমেয়াদি রোগ এবং মানসিক চাপের শিকার হতে হয়। অবুঝ ও ছোট বয়সে শ্রমে নিযুক্ত শিশুরা সহজেই অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। শিশুশ্রম সমাজের জন্য এক বেদনাদায়ক বাস্তবতা। তবে এ বাস্তবতা যথাযথ উদ্যোগ ও পরিকল্পনার মাধ্যমে নিরসন করা সম্ভব।
বাংলাদেশে শিশুশ্রমের প্রধান কারণ অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে ভরণপোষণ মিটিয়ে সন্তানের লেখাপড়া চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। ফলে অভিভাবকরা স্কুলে পাঠাতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন এবং বয়সের কথা বিবেচনা না করে সন্তানকে কোন পেশায় নিয়োজিত করেন। এছাড়া অশিক্ষা, সচেতনতার অভাব, সামাজিক প্রথা ও সংস্কৃতি এবং নগরায়ণ ও শ্রমবাজারে সস্তা শ্রমের চাহিদাও শিশুশ্রম বৃদ্ধি করে। গ্রামীণ এলাকায় শিশুদের কাজকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়। দেশের আর্থ-সামাজিক দুরাবস্থা, পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু, বিচ্ছিন্নতা, অতিপ্রজনন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদীভাঙন, বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস–সবই শিশুশ্রমকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
পরিবারের প্রধান বা পিতার মৃত্যু হলে পরিবার সদস্যদের লেখাপড়া বা ভরণপোষণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। পারিবারিক ভাঙনের ফলে শিশুরা নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে এবং এদের শিক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব কেউ নেয় না। দরিদ্র পরিবারে সন্তান সংখ্যা বেশি হলে ভরণপোষণ আরও কষ্টকর হয়।
অন্যদিকে শিশুদের দীর্ঘকাল শিক্ষার খরচ চালিয়ে যাওয়ার ধৈর্য অভিভাবকদের থাকে না। শিক্ষা উপকরণ ও সুযোগের অভাব, শিশুশ্রমের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অভিভাবকদের উদাসীনতা, শহরে গৃহস্থালির কাজের ওপর অতি নির্ভরশীলতা এবং চলমান সামাজিক সংস্কৃতি–সব মিলিয়ে শিশুশ্রম বাড়িয়ে দেয়। গ্রামে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী শিশুকেও শহরে গৃহকর্মে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা তাদের স্বাভাবিক শৈশব ও বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।
শিশুশ্রম বলতে বোঝানো হয় এমন কাজ, যেখানে কোনো শিশু শারীরিক, মানসিক বা সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যার কারণে সে শিক্ষা ও স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বঞ্চিত হয়। সাধারণত ১৪ বছরের নিচে শিশুদের শ্রমে নিযুক্ত হওয়াকে শিশুশ্রম হিসেবে গণ্য করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও আইএলও’র জরিপ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৯৪ ধরনের কাজে শিশুরা নিয়োজিত, যার মধ্যে অন্তত ৪৫টি কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ) ও ইউনিসেফ পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে প্রায় ৩০১ ধরনের অর্থনৈতিক কাজে শিশুরা নিযুক্ত।
১৮ শতকের শেষভাগে গ্রেট ব্রিটেনে শিল্প-কারখানা চালু হলে প্রথমবারের মতো শিশুশ্রম একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের পর শিশুশ্রম ব্যাপক আকার ধারণ করে এবং ১৯১০ সালের পর তা একটি সামাজিক সংকটে পরিণত হয়। ১৮০২ সালে ব্রিটেনে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে শিশুশ্রম বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইউরোপের অন্যান্য দেশেও অনুরূপ আইন প্রণয়ন করা হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনের কারণে শিশুশ্রম আবার বেড়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩৮ সালে প্রণীত ঋধরৎ খধনড়ৎ ঝঃধহফধৎফং অপঃ-এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ পেশার জন্য ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর এবং সাধারণ নিয়োগের জন্য ১৬ বছর নির্ধারণ করা হয়।
১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হয় জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ (টঘঈজঈ)। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ওখঙ) শিশুশ্রম বন্ধে বৈশ্বিক কর্মসূচি হাতে নেয় এবং ২০০২ সালের ১২ জুন থেকে দিনটি ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশ এ দিবসটি পালন করছে।
বিশ্বব্যাপী আইএলও ও ইউনিসেফের রিপোর্ট বলে–প্রায় ২৪ কোটি ৬০ লাখ শিশু শ্রমে যুক্ত; তার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রায় ১৮ কোটি। আবার ২০২৪ সালের ওয়াইড রিপোর্টে আন্তর্জাতিকভাবে বলা হয়েছে প্রায় ১৩৮ মিলিয়ন (১৩.৮ কোটি) শিশু ক্ষুদ্র বা বড় আকারে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যুক্ত–সংখ্যাতত্ত্বগুলো ব্যবস্থাপনা ও রিসোর্স অনুসারে আলাদা হলেও মর্ম একই–বিশাল এক প্রজন্ম শৈশব হারাচ্ছে।
বাংলাদেশে শিশুশ্রম নিয়েই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সমীক্ষা এসেছে–কিন্তু সবার বক্তব্য অমিল। ২০২৩ সালে ইইঝ জানিয়েছিল প্রায় ৩২ লাখ শিশুশ্রমিক; পরে সরকারি প্রয়াসে সেটি কমে কিছুটা হলেও রেকর্ডিং-পদ্ধতি ও বাস্তবতা বদলে যাওয়ায় পরবর্তীতে আবার বাড়তি জরিপে উচ্চতর সংখ্যা ধরা পড়ে। সাম্প্রতিক কয়েকটি সূত্র মিলিয়ে বলা হয়–দেশে প্রায় ৩৫ লাখ (৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭) শিশু শ্রমিক রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে–এই সংখ্যা শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের কথাবার্তারও সঙ্গে মেলে। অন্য সমীক্ষা ও কর্মী সংগঠনের তথ্য দেখায়, গ্রামে শিশু শ্রমিক সংখ্যা শহরের তুলনায় দ্বিগুণ–গ্রামে ৬৭ লাখ।
জাতীয় শিশু শ্রম সমীক্ষা ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ৫-১৭ বছর বয়সি শিশুর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫। এর মধ্যে কর্মজীবী শিশুর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৭। আর ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সি শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭, যা মোট শিশুর ৪.৪%।
জাতীয় শিশুশ্রম জরিপ ২০২২ অনুসারে, পল্লি এলাকায় ২৭ লাখ ৩০ হাজার এবং শহরাঞ্চলে ৮ লাখ ১০ হাজার শ্রমজীবী শিশু রয়েছে। এর মধ্যে শিশুশ্রমে নিয়োজিতের সংখ্যা পল্লি এলাকায় ১৩ লাখ ৩০ হাজার এবং শহরাঞ্চলে ৪ লাখ ৪০ হাজার। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমে নিয়োজিতের সংখ্যা পল্লি এলাকায় ৮ লাখ ২০ হাজার এবং শহরাঞ্চলে ২ লাখ ৪০ হাজার।
জরিপ থেকে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী শিশু শ্রমিকের ৮২% নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করে। এর মধ্যে উৎপাদনে ৩৩.৩০% এবং কৃষি, বনায়ন ও মাছ ধরায় ২৩.৬০% নিযুক্ত রয়েছে। সামগ্রিকভাবে শিশু শ্রমিক কর্মচারী হিসেবে শ্রেণিভুক্ত ৬৮.৮০% এবং স্কুলে যায় ৫২.২০%। শিশু শ্রমিকদের গড় মাসিক আয় ৬ হাজার ৬৭৫ টাকা।
অন্য এক জরিপ বলে, দেশে ২০ লাখ গৃহশ্রমিকের মধ্যে প্রায় ১৮ লাখ ৬০ হাজারই শিশু। অর্থাৎ গৃহশ্রমিকদের ৯৩ শতাংশই শিশু, যাদের অধিকাংশ মেয়ে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মী শিশুদের ৩০ শতাংশের বয়স ৬ থেকে ১১ বছর, বাকিদের বয়স ১২ থেকে ১৬। তারা প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে, কোনো ছুটি নেই, নেই বিনোদন, নেই সুরক্ষা। সামান্য ভুলের কারণে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় তারা। অনেক সময় গৃহকর্ত্রীর অসহ্য যন্ত্রণায় আত্মহত্যার পথও বেছে নেয় কোমলমতি শিশুরা–যা প্রায়ই সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়।
বহু আইন ও নীতি আছে–জাতীয় শিশুনীতি, শ্রম আইন ও শিশু সংরক্ষণ আইনের ধারাসমূহ। আন্তর্জাতিক স্তরে ঈজঈ ও ওখঙ কনভেনশনগুলোও বাংলাদেশের জন্য মাপকাঠি। কিন্তু বাস্তবে কি কাজ হচ্ছে? শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচে যাদের কাজ করানো হয়–একে শিশুশ্রম বলা হয়। জরিমানা বিধান আছে–তবে বাস্তবায়ন ও শাস্তির ধারাবাহিকতা নেই। শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩): ১৪ বছরের নিচে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ। জাতীয় শিশুনীতি ২০১১: ৮.৯ ধারা অনুসারে, যেখানে শিশুরা নিয়োজিত, সেখানে শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু আইন ২০১৩: শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় সর্বাত্মক নীতি প্রদান করে–কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু?
সরকারও তার প্রকল্পগুলোর কথা বলছে–জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৫), জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, পুনর্বাসন প্রকল্প। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে–শিশুশ্রম নিরসনে গত এক যুগে ৩৫২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তবে এডুকো বাংলাদেশের মত শিশু অধিকার কর্মীরা বলছেন–প্ল্যানগুলোতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই, বা বরাদ্দ থাকলেও ব্যবহার ও তদারকিতে স্বচ্ছতা নেই।
শিশুশ্রম বন্ধ করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আইনের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। সংবিধান, শ্রম আইন এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি–যেমন শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আইএলও কনভেনশন–রাষ্ট্রকে নির্দেশ দেয় যে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
শিশুশ্রম আমাদের রাষ্ট্র-সমাজ-পৃথিবীর জন্য বড় লজ্জার বিষয়। মঙ্গলে অভিযান বা চাঁদে জিতে আসা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তান কেন দুবেলা দু-মুঠো খাবার জোগাড় করতে সুন্দর শৈশব হারাবে? কেন ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ পরিশ্রম করবে?
লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক কলাম লেখক