উড়োজাহাজে করে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানোর ‘নীলনকশা’

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা বিদেশ ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা গাজা থেকে তাঁর দেশে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরকে একটি ‘সুস্পষ্টভাবে পরিকল্পিত কার্যক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জোবার্গগে সম্প্রতি সাংবাদিকদের লামোলা বলেন, ‘মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ফিলিস্তিন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে দেওয়ার বৃহত্তর এক নীলনকশার অংশ হচ্ছে এটি।’ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ১৫৩ ফিলিস্তিনিকে নিয়ে প্রথম একটি চার্টার্ড বিমান দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসব ফিলিস্তিনির অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি ছিল না। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা পুরোপুরি ‘অপ্রস্তুত’ হয়ে পড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনো ফ্লাইট আমাদের দিকে আসুক। কারণ, এটি গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার একটি স্পষ্ট নীলনকশা।’ অন্তত দুটি উড়োজাহাজে করে কয়েশ শ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়। একটি অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে এসব ফ্লাইটের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। ফিলিস্তিনিদের নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়োজাহাজ অবতরণের পর প্রায় ১২ ঘণ্টা দৌড়ঝাঁপ চলে। পরে ওই সব ফিলিস্তিনিকে অবশেষে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর ‘আল-মাজদ ইউরোপ’ নামে একটি সংস্থার পরিচালিত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কর্মীরা বলছেন, এ সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার (জাতিগত নির্মূল) প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..