আমিষের বাজারও চড়া

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : রাজধানীর কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং নয়াবাজা, হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও কারওয়ানবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে বেড়েছে ডিম, গরুর মাংস, সোনালি, লাল লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম। এককথায়, আমিষের বাজার চড়া। তবে কিছুটা কমেছে সবজির দর। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। এতে বেড়েছে দাম। মুরগি বিক্রেতা স্বপন বলেন, গরমের কারণে খামারে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। তবে আগের ১৭০-১৮০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার। এছাড়া প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিমের বাজারও। প্রতি ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে ডজন প্রতি আরও ৫-১০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে প্রান্তিক খামারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মুরগি মারা গেছে। ফলে ৭০ হাজার খামারির প্রতিদিন ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়েছে। দিনে ৫০ হাজার টাকা ধরা হলেও গত এক মাসে প্রান্তিক খামারিদের লোকসান দাঁড়ায় ৩০০ কোটি টাকায়। এতে প্রান্তিক খামারিরা পুঁজি হারিয়ে খামার বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে ডিমের উৎপাদন কমবে ৫ শতাংশ এবং মাংস উৎপাদন কমবে ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, যা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এদিকে বাজারে খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। তবে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির জন্য এখন খামারিরা গরু কম ছাড়ছেন। এতে সরবরাহ কমায় দাম সামান্য বেড়েছে। কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মাংস বিক্রেতা হামিদুল বলেন, কোরবানি প্রায় চলে এসেছে। কোরবানিতে বিক্রির জন্য খামারিরা গরু কম বিক্রি করছেন। এতে বাজারে সামান্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবছরই এ সময়টায় দাম সামান্য বেড়ে থাকে। আরেক মাংস ব্যবসায়ী খালিদ বলেন, গরু কম পাওয়া যাচ্ছে। যাও মিলছে, সেটিও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এটি সাময়িক, ঈদের পর দাম কমে যাবে।
শেষের পাতা
‘জাতীয় ও শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কোন চুক্তি করতে দেওয়া হবে না’
বাংলাদেশ নিয়ে সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের প্রতিবাদে দেশজুড়ে সিপিবির সমাবেশ
চট্টগ্রাম কলেজে শহীদ শাহাদাতের স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি
ভিয়েতনামের সাবেক রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে সিপিবির শোক
গ্রামীণ মজুরদের রেশন-পেনশন চালুর জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে
বাজেট কমিয়ে শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তর করার পাঁয়তারা
সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে
মৎস্যজীবী জেলেদের বিক্ষোভ ও খোলা চিঠি প্রেরণ
৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য দুইজন শিক্ষক ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা
জামায়াত নেতা আজহারকে বেকসুর খালাস ঘোষণার রায়কে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান
সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক বরাদ্দ ও দপ্তর স্থাপনের দাবি
৭ দিনের সংবাদ...

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..