হাসপাতালে জেনারেটর অচল গরমে কাহিল রোগী-চিকিৎসকরা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
নীলফামারী সংবাদদাতা : তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে অশান্তি। সারাদেশে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র এই গরম অপেক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অধিক পরিমাণে রোগী থাকায় পর্যাপ্ত সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। তার উপরে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং। অধিকাংশ হাসপাতালে নেই উচ্চমানের জেনারেটর। যেসব হাসপাতালে জেনারেটর আছে সেখানে যেভাবে ফ্যানের পাখা ঘুরে তাতে না ঘুরাই ভালো এমনটাই অভিযোগ নীলফামারীর এক হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনদের। সারাদেশের মতো নীলফামারীতে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, রোগী ও তাদের স্বজনরা। গত ২ মে দুপুরে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকায় রোগীদের হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন স্বজনরা। তীব্র গরমে হাসপাতালের বিছানায় ঘেমে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। সবচেয়ে কহিল অবস্থায় শিশু ও বয়স্করা। লোডশেডিংয়ের সময়ে আইপিএসের সাহায্য বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালিয়ে আলোর শূন্যতা পূরণ হলেও জেনারেটর সংযোগ না থাকায় ঘুরছে না ফ্যানের পাখা। ঘুড়লেও যা বাতাস তা শরীরে লাগার মতো নয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এক রোগীর স্বজন জানান, ছোট বোন ডায়রিয়ার আক্রান্ত। তাকে নিয়ে ৪দিন ধরে হাসপাতালে আছি। তীব্র গরমের কারণে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। শুনেছি হাসপাতালে জেনারেটর আছে। কিন্তু কখনো চালাতে দেখিনি। হাসপাতালে চিকিৎসারত মজিবর রহমান বলেন, বার বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। এতে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। গরমে খুব খারাপ লাগছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আল মামুন বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগী দেখা, সেলাই-ড্রেসিং ও ভর্তি থাকা রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে টিকাসহ অন্যান্য মেডিসিনও নষ্টের উপক্রম হয়ে পড়েছে। আইপিএস দিয়ে আলো সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..