নাচোলের রানীমা
কমরেড ইলা মিত্র
Posted: 19 অক্টোবর, 2025
নাচোলের ‘রানীমা’ খ্যাত ইলা মিত্রকে নিয়ে কবি গোলাম কুদ্দুস তাঁর বিখ্যাত কবিতার এক জায়গায় লিখেছেন-
“... ইলা মিত্র রাজশাহী জেলে।
স্বামী তাঁর শান্ত ঋজু দৃঢ়
ফেরারী এখনো পাকিস্তানে,
উভয়ের শিশুপুত্র কোথা
মাতাপিতা সঙ্গহীন বাড়ে!...”
এই কবিতাটি শুনলে বা পাঠ করলে বরাবরই আমার চোখ পানিতে ভরে ওঠে। কী বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল পাকিস্তানিরা ইলা মিত্রের ওপর! সে বিষয়ে আদালতে দেয়া ইলা মিত্রের জবানবন্দি পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। ছোটবেলা থেকে গোলাম কুদ্দুসের এই কবিতাটি বিশেষ করে কবিতার এই অংশটি আমার মুখস্ত। তরুণ মনে ছবি এঁকেছি। এঁকেছি বাংলাদেশসহ ভারতবর্ষের এক মহান বিপ্লবী, কবিতার সেই রানীমার মুখ।
১৯৪৮ সাল থেকে গোটা উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘তেভাগা আন্দোলন’। দিনাজপুর, রাজশাহীতে তা জঙ্গি সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ নিয়েছিল। রাজশাহীর নাচোল এলাকায় তীর-ধনুক নিয়ে লড়াইতে ভাগচাষী ও কৃষকদের সেই সংগ্রামের নেতৃত্বে ছিলেন সেখানকার জমিদার বাড়ির পুত্রবধূ, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা কমরেড রমেন মিত্রের শিক্ষিত আধুনিক স্ত্রী কমরেড ইলা মিত্র। সশস্ত্র প্রতিরোধ চলাকালে একপর্যায়ে পাকিস্তানিরা ইলা মিত্রকে গ্রেফতার করে আটক অবস্থায় তাঁর ওপর অমানবিক-বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল। তারা ভেবেছিল যে বর্বর অত্যাচার করলেই বোধহয় ইলা মিত্র দমে যাবেন, ভয়ে স্তব্ধ হয়ে যাবেন। তিনি তাঁর সহযোদ্ধা কমরেডদের পরিচয় ফাঁস করে দিবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, ইলা মিত্র সেই নিষ্ঠুর অত্যাচারকেই জবানবন্দি আকারে আদালতে হাজির করলেন। পাকিস্তান, ভারত ও গোটা বিশ্ববাসী সেই নিষ্ঠুরতার বয়ান জানতে পারলো। মানুষকে দমিত করার বদলে তা তাদের আরো দ্রোহী করে তুললো। ইলা মিত্র হয়ে উঠলেন তেভাগা আন্দোলনের রানীমা। বিপ্লবী সংগ্রামের প্রতিমা।
তেভাগা আন্দোলন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নিপীড়িত মানুষকে এক কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছিল। পাকিস্তানের গোটা সময়টাতেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর জন্য যারপরনাই চেষ্টা করেছে। দাঙ্গা লাগিয়ে হিন্দু-মুসলমানে, মুসলমান-আদিবাসীতে, আদিবাসী-হিন্দুতে বিভেদ তৈরি করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তার শাসন চালিয়ে নেওয়ার জন্য সাম্প্রদায়িকতাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তেমন এক অবস্থার মধ্যে ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলনের মতো একটি শ্রেণি-সংগ্রামের পক্ষে সামাজিক আলোড়ন গড়ে তুলতে পারাটি ছিল বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। আরও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, একটি রক্ষণশীল সমাজে যেখানে নারীদের জীবন ছিল একেবারেই ঘরবন্দি, সেরকম একটি পরিস্থিতিতে ইলা মিত্রের মতো একজন নারীর পক্ষে অগণিত মেহনতি নারীদের সংগঠিত করা এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে ব্যাপক কৃষক সমাজকে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনাটি। এটি ছিল অভূতপূর্ব।
ভাগচাষীদের জন্য ফসলের তিনভাগের দুইভাগের দাবিতে লক্ষ-লক্ষ মেহনতি মুক্তিকামী মানুষ সেদিন তাদের জীবন বাজি রেখে এই লড়াইয়ের আলোক শিখাকে, সংগ্রামের লাল ঝাণ্ডাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিল। বিপ্লবী, বুদ্ধিজীবী ও বিবেকবান মানুষরা এই সংগ্রামরত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। এই তেভাগা আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল কমিউনিস্ট পার্টি। সেই সময়ে উপমহাদেশে যেসব আন্দোলন জাতীয়ভাবে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছিল তার মধ্যে তেভাগার দাবিতে বাংলার আধিয়ার-কৃষকদের আন্দোলন ছিল অন্যতম।
তেভাগা আন্দোলন ও তার রানীমা ইলা মিত্রের জন্ম আকস্মিক বা হঠাৎ করে ঘটেনি। কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কৃষক সমাজ ছোটখাটো অসংখ্য সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সচেতন ও সংগঠিত হয়েছিল। সেই উত্তাল চল্লিশের গোড়াতেই ইলা মিত্র ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন সে সময়ের একজন তুখোড় অ্যাথলেট। সে সময় জাপানের বিশ্ব অলিম্পিকের জন্য ভারতবর্ষে যে জাতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছিল ইলা মিত্র ছিলেন তার একমাত্র বাঙালি সদস্য। যদিও পরে বিশ্বযুদ্ধের কারণে সেবার বিশ্ব অলিম্পিকের আসর আর বসেনি। কিন্তু এসবের মাঝেই তিনি মার্কসবাদের আদর্শে দীক্ষা গ্রহণ করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যুক্ত হয়েছিলেন। রাজশাহীর এক জমিদার বংশের একজন বিপ্লবীতে রূপান্তরিত সার্বক্ষণিক পার্টি নেতা কমরেড রমেন মিত্রের সাথে বিয়ে হওয়ায় ইলা মিত্রের বিপ্লবী জীবন আরও বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
আমি খুব কাছে থেকে তাঁর স্নেহ-ভালবাসা পেয়েছিলাম। এটি আমার জীবনের এক দুর্লভ সৌভাগ্য। তাঁর কলকাতার বাসায় প্রায় বছরখানেক সময়কাল আমার থাকার সুযোগ হয়েছিল। তিনি আমাকে সন্তানের মতো ভালবাসা দিয়েছিলেন। আমি তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠেছিলাম। এখনো আমাদের দুই পরিবারের জীবিত সদস্যদের মধ্যে সেই ভালবাসার বন্ধন অটুট আছে।
এ লেখা লিখতে গিয়ে স্মৃতিতে অনেক ছবি, অনেক কথা উদয় হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময়টায় আমাকে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ গেরিলা বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে একটি উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের গভীর অরণ্যে এবং পরে ত্রিপুরায় স্থাপিত ‘বেইস ক্যাম্পে’ অথবা সরাসরি ‘অপারেশনে’ বেশিরভাগ সময় থাকতে হয়েছিল। আমি ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকার কারণে মাত্র একবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় যোগ দিতে আমাকে শুধু দুদিনের জন্য কলকাতায় আসতে হয়েছিল। আমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইলা মিত্রের এন্টালি-পদ্মপুকুর এলাকায় তার সিআইটি কলোনীর বাসায়। তখনই স্বচক্ষে দেখেছিলাম। তখনই আমার প্রথম দেখা নাটোরের রাণীমাকে! দেখেছিলাম এমন এক মানুষকে, যার মুখ দেখলেই হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা চলে আসে। হ্যাঁ, কবি গোলাম কুদ্দুস ঠিকই লিখেছেন, “ইলা মিত্র ইস্পাতে গড়া।” কী এক অপার মায়ায়-স্নেহে তিনি আমাকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের ট্রেনিং, প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, ক্যাম্পগুলোর সমস্যা সবকিছু খুটিয়ে খুটিয়ে আমার কাছ থেকে জেনে নিয়েছিলেন। ইলা মিত্র তখন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সদস্য। মোট চারবার বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন, অর্থ সংগ্রহ করেছেন। দুদিন পরে আমাকে গেরিলা বেইস ক্যাম্পে চলে আসতে হয়েছিল।
আমার দ্বিতীয়বার কলকাতা যাওয়া ঘটেছিল পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পর। সেই সময়টায় প্রায় এক বছর আমি কলকাতায় ছিলাম। তার মধ্যে বেশ কিছুটা সময় ইলা মিত্রের বাসায় ছিলাম। ইলা মিত্রের আত্মীয় হিসেবে অসীম মিত্র নাম ধারণ করে আমাকে সেখানে থাকতে হয়েছিল। সে সময় তাদের বাসার জন্য যে গ্যাস সিলিন্ডারের পারমিটটি নিতে হয়েছিল তা নেয়া হয়েছিল আমার, তথা অসীম মিত্রের নামে। সেই আবেদনপত্রে আমি স্বাক্ষর করেছিলাম। সেটি এখনো সেভাবেই আছে।
ইলাদি’র বাসায় থাকতেন তাঁর স্বামী রাজশাহীর জমিদার পরিবারের শ্রেণিচ্যুত সন্তান কমরেড রমেন মিত্র, রমেন দা এবং তাদের একমাত্র সন্তান, পুত্র রনেন মিত্র মোহন। রমেন দা ছিলেন পূর্ববঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির বিশিষ্ট নেতা। তিনি ছিলেন তেভাগা আন্দোলনের একজন প্রধান সংগঠক। তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। হেন কোনো বিষয় ছিল না যা নিয়ে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে আমার সাথে আলাপ না করতেন। এই বাসার পাশেই ছিল সিপিআই-এর ‘লেনিন স্কুল’। সেখানে তখন থাকতেন রনেশ দাশগুপ্ত এবং পাশের পার্ক সার্কাস এলাকায় বাস করতেন কমরেড আব্দুর রাজ্জাক খান। প্রতিদিন বিকেলে এই তিন প্রবীণ নেতা কমরেড ইলা দি’র (রমেন দা’র) বাসায় একত্রিত হয়ে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে হাঁটতে বের হতেন। তাঁরা তাদের গল্পগুজবের আড্ডায় আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিলেন। আমি ইতিহাসের অনেক ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয় জানার সুযোগ পেতাম। এটি ছিল আমার জন্য আকটি মহামূল্যবান সঞ্চয়।
ইলা মিত্রের একমাত্র সন্তান রণেন মিত্র ‘মোহন’ প্রথম দিন থেকেই আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছিল। মোহন আর আমার জন্ম একই বছরের একই মাসে। পরবর্তীতে দেখা গেল যে, আমাদের বিয়েও হয়েছে একই বছরের একই মাসে। আমাদের প্রথম সন্তানের জন্মও হয়েছে একই বছর একই মাসে। এ যেন এক কাকতালীয় যোগসূত্র। বস্তুত ইলা দি-র পরিবারের সঙ্গে আমার তখনই একটি ‘ঘরের ছেলের’ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কে আর কোনোদিন ভাটা পড়েনি। এরপর থেকে ইলা মিত্র যতবার বাংলাদেশে এসেছেন, ততবারই আমার বাসায় উঠেছেন। আমিও যতবার কলকাতায় গিয়েছি ততবারই তাদের বাসাতেই উঠেছি। ইলা দি ও রমেন দা প্রয়াত, কিন্তু কলকাতায় গেলে সে বাসা আমার জন্য এখনো ‘আমারই বাসা’।
ইলা দি’র বাসায় প্রায় এক বছর থাকার সময়ই সম্ভব হয়েছিল তাঁকে অতি ঘনিষ্ঠভাবে জানার। তিনি সংসারের রান্নাবান্নাসহ অন্যান্য কাজ, কলেজে শিক্ষকতার কাজ, বিধানসভার সদস্যের কাজ, পার্টির রাজ্য কমিটির কাজ ইত্যাদি একসাথে কীভাবে যে সম্পন্ন করতেন তা না দেখলে অনুমান করা যাবে না। মেশিনের মতো কাজ করতেন। ক্লান্তিহীনভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক শুধু কাজ করে যেতেন।
আমার শোনা ছোট্ট একটা ঘটনার কথা দিয়ে লেখাটি শেষ করবো। ঢাকায় তিনি যখন আমার বাসায় উঠেছেন, তখন খুব ভোরে বাসার ছাদে বসে কথা প্রসঙ্গে তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, খেতে বসে অনেক সময় খাওয়া অসমাপ্ত রেখেই তিনি উঠে পড়তেন। বলতেন, আর খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। এরও কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন যে, খেতে বসলে তাঁর মাঝে মধ্যেই তেভাগা আন্দোলনের শহীদ ‘শহিদ কাহারের’ মুখটা মনে পড়ে যায়। কাহার খেতো বেশি, কিন্তু কাজে ছিল ফাঁকিবাজ। ইলা দি সেজন্য তাকে মাঝেমধ্যেই খুব বকাবকি করতেন। বলতেন যে তোমাকে দিয়ে কোনো কাজ হবে না। কিন্তু একদল সাঁওতাল রমনীর সাথে ইলা দি ধরা পড়ার পর তাদের মধ্য থেকে ইলা মিত্রকে শনাক্ত করার জন্য পুলিশ সেই ফাঁকিবাজ কাহারকেই থানায় নিয়ে এসেছিল। শত নির্যাতনের মুখেও পুলিশ তাঁর মুখ থেকে কোনো কথা বের করতে পারেনি। ইলা দি’র চোখের সামনে তাকে বন্দুকের বাট গিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এরকম অনেক শহিদ সাঁওতালের মুখ সারাজীবন তিনি বুকে ধারণ করে থেকেছেন। বিপ্লবী কমরেড ইলা মিত্র কোনোদিন তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেননি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের কল্যাণে, স্বার্থে কাজ করে গেছেন।
ইলা মিত্র কোনোদিন হারতে জানতেন না। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর মাঝে সেই দৃঢ়তা আমরা দেখতে পাই। যতবার এই বিপ্লবীর রানীমা-র মুখটি আমার চোখের সামনে ভাসে, ততবারই মনে হয়, এই এমন একজন মানুষ যিনি নিজের সংকল্প থেকে কোনোদিন বিচ্যুত হননি। কোনো অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন তাকে তাঁর আদর্শ থেকে সারাজীবন বিচ্যুত করতে পারেনি। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও তিনি সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
ইলা মিত্রকেও ভুলে যায়নি এদেশের সংগ্রামী মানুষ। তেভাগা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে তিনি যখন রাজশাহীর নাচোলে গিয়েছিলেন, নাচোলের সাঁওতাল ও কৃষকরা তাদের রানীমাকে যে কতোটা ভালবাসেন সেটি আমি সেদিন নিজের চোখে দেখেছিলাম। অনেকেই হয়তো জীবনে প্রথম ইলা মিত্রকে দেখেছিলেন। কিন্তু তাদের মনে হয়েছে, এই ইলা মিত্র তাদের ঘরেরই মেয়ে, তাদের রূপকথার রানীমা!