“লক্ষ্মীপ্যাঁচা সান্ধ্যকালেই উড়ে”

Posted: 21 সেপ্টেম্বর, 2025

৫ আগস্ট ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রথমে কেউ কেউ ভেবেছিলেন যে “দ্বিতীয় বিপ্লব” বা “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” অর্জিত হয়েছে। উচ্ছ্বাসে ভরপুর গণঅভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীরা ভেবেছিলেন যে ক্ষমতা হাতের মুঠোয় এসে গেছে। পরে তারা অবশ্য স্বীকার করেছেন যে “বিপ্লব বেহাত হয়ে গেছে”। প্রাথমিক এই আশাবাদের পর এখন ধাতস্থ হয়ে অনেকেই বলছেন যে, এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল মনে হলেও এখন রাজনৈতিক অবস্থাটি খুবই তরল। এর ফলাফল খুব খারাপও হতে পারে আবার “ভালো”-ও হতে পারে। নির্ভর করবে অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঠিক পথে রাখতে পারবে কি পারবে না তার ওপর। নির্ভর করবে জনগণের পক্ষ থেকে চাপ এবং তাপের প্রয়োজনের মাত্রা কতটুকু তার ওপর। এসব প্রাথমিক আশাবাদী বাক্যের পর ইতোমধ্যে ক্রমশঃ এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, ইউনূস সরকার শাসক শ্রেণির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্যই মনোনীত সাম্রাজ্যবাদ সমর্থিত সরকার। আর বর্তমানে শাসক শ্রেণির সবগুলো প্রধান দক্ষিনপন্থি রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়েই তিনি দেশ চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া ঐ দলগুলি হচ্ছে জামায়াতে ইসলাম, বিএনপি এবং এনসিপি। জাতীয় পার্টি ক্ষমতার কাছাকাছি বলয়েরই একটি দল হলেও তাকে কাছে রাখা হবে কি না তা নিয়ে এখনো হয়তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সুতরাং আসল প্রশ্নটা হচ্ছে কমিউনিস্ট, বামপন্থি, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক (যারা সকলেই কমপক্ষে সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরোধী) শক্তিগুলো যে আশা নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা এখন কিভাবে তাদের সেসব আশা পূরণ করবেন? এত আত্মত্যাগ কি বৃথা যাবে? এ প্রশ্ন এখন আত্মপ্রতারিত জেন-জির কারো কারো মনেও উঠতে শুরু করেছে। কমিউনিস্ট পার্টি অতীতের দ্বাদশ কংগ্রেস থেকে বলে এসেছিল যে, আওয়ামী লীগের বিকল্প বিএনপি নয়। জামাত তো নয়ই। জাতীয় পার্টিও নয়। তখন থেকেই পার্টি বলে আসছে, “নৌকা-লাঙ্গল-পাল্লা-শীষ”দের মধ্যে তফাৎ শুধু উনিশ-বিশ। তারই ধারাবাহিকতায় তারা গণঅভ্যুত্থানের আগে সর্বশেষে বলেছিলেন, “দুঃশাসন হঠাও-ব্যবস্থা বদলাও–বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প তৈরি কর”। বর্তমানে “দুঃশাসন” ভারতে আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু নতুন দুঃশাসন কায়েমের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পটভূমিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারকার ত্রয়োদশ কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসে পুনরায় আমাদের দেখতে হবে কোন শ্লোগানটি আমাদের এখনকার শক্তি সমাবেশের জন্য সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে? কোন শত্রুদের বিরুদ্ধে কোন মিত্রদের জোট গঠন করে আমরা আমাদের “বাম-গণতান্ত্রিক” স্বপ্ন ও শক্তিকে একটি দৃশ্যমান বৃহৎ বিকল্প বাস্তব শক্তিতে পরিণত করতে পারবো এবং ক্ষমতা দখল করে সমাজতন্ত্র অভিমুখী ব্যবস্থা বদলের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে পারবো? এটাই এই কংগ্রেসের সামনে মুখ্য প্রশ্ন। অতীতে অনেক গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমরা কখনো যুক্তফ্রন্ট করে, কখনো ইস্যুভিত্তিক ফ্রন্ট করে, কখনো ফ্রন্ট ছাড়া কোন না কোন ধরনের যুগপৎ, সম অভিমুখী বা সমান্তরাল আন্দোলন করে বা এমন কি বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে মিত্রদের এক Platfrom এ ডেকে এনে আলাপ আলোচনা বা সেমিনারের মাধ্যমে সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রামের সূচনা ও নানা আয়োজন বা পদক্ষেপ নিয়েছি। আগামীতেও হয়তো নেবো, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কী করলে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী রণনীতিগত লক্ষ্য (সমাজতন্ত্র অভিমুখী বিপ্লবী পরিবর্তন) বিঘ্নিত হবে না, বরং ধাপে ধাপে মকসুদে মঞ্জিলের দিকে এগিয়ে যাবে? কী করলে পরে বারে বারে সাধারণ শত্রুকে হঠিয়ে দেয়ার পর পুনরায় আরেক নতুন শত্রু আবার সেখানে এসে ক্ষমতা দখল করবে না? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হলে–গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে–: প্রথমতঃ লুটেরা বুর্জোয়া, দুর্নীতিপরায়ন সামরিক বেসামরিক আমলা, আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি হচ্ছে জনগণের সাধারণ শত্রু। মনে রাখতে হবে শ্রেণিস্বার্থের দরুন এই শত্রুদের মধ্যে প্রধানতঃ একটি পারস্পরিক সখ্যতা (Nexus) বিদ্যমান, আর কখনো কখনো কিছু খুনসুটি ও বিরূপতাও রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ বর্তমানে সদ্য পতিত স্বৈরাচারও জনগণের শত্রু এই অর্থে যে, তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি, শ্রেণিমিত্র এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল অধঃস্তন দুর্নীতিবাজ-অপরাধী কিছু অপশক্তি নানাভাবে এখনো লুকিয়ে রয়েছে এবং তাদের ওপর নির্ভর করে স্বৈরাচার পুনরায় ফিরে আসার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তৃতীয়তঃ দেশে রয়েছে শক্তিশালী গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি, যারা জনগণকে সুষ্ঠু ও ন্যূনতম স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার প্রদানে রাজি নয়, যারা অপ্রাসঙ্গিক সংস্কারের নাম করে বা সংবিধান পরিবর্তনের নানা পূর্বশর্ত দিয়ে অথবা নিজেদের ক্ষমতা থেকে নিরাপদ নিষ্ক্রমনের (Safe Exit) জন্য জাতীয় নির্বাচনের আগেই নানা ধরনের ভোটের আয়োজন করে নিজেদের ক্ষমতা সংহত ও নিরাপদ করতে চাইছেন এবং যার দরুন আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন, তারাও হচ্ছেন এই মুহূর্তে জনগণের আশু বিপদজনক শত্রু। কারণ গণতন্ত্রহীন বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্প্রদায়িক বিপদ আরো বেশি ঘনীভূত হবে। সুতরাং এই মুহূর্তে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তিকে এই তিন শত্রুর কারো প্রতি কোনো মোহ রাখলে আগামীতে নির্বাচন দীর্ঘায়িত হবে এবং সংকট ঘনীভূত হবে। জনগণ আরো পিছিয়ে যাবেন। কংগ্রেস থেকে আমরা সঠিক পথের দিশা পাবো না। তাই এই মুহূর্তে এসব শত্রুর বিরুদ্ধে আপসহীন মোহহীন রাজনৈতিক সংগ্রাম তীব্র থেকে তীব্রতর করার মাধ্যমেই নিজেদের “বাম-গণতান্ত্রিক” শক্তি সমাবেশের আয়তন ক্রমাগত আরো বাড়াতে হবে। তাকে কেন্দ্রে রেখে সম্ভাব্য প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মিত্রদের টেনে আনতে হবে তার চারদিকে। একইসঙ্গে জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তাদের শ্রেণিগত দাবিদাওয়া ও ইস্যুভিত্তিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আদর্শগত বহুমুখী সংগ্রাম করে জনশক্তি ও জনসংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করাটাও জরুরি। এছাড়াও “সর্বজনের” মধ্যে (Civil Society) হেজেমনী তৈরির জন্য নিয়মিত লেগে থেকে ভাবাদর্শগত উপযুক্ত ন্যারেটিভ নির্মাণের কাজও করতে হবে। নানা গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মিত্র শ্রেণিগুলিকে নিয়ে তাদের ঐক্যবদ্ধ শ্রেণিস্বার্থের সংগ্রাম ও সর্বজনের মধ্যে “হেজেমনী” প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম—- এই ত্রয়ীর সামগ্রিক বহুমুখী মেলবন্ধন ঘটাতে পারলেই ভবিষ্যতে আমরা আমাদের ইপ্সিত বাম গণতান্ত্রিক স্বপ্নের বিকল্প গড়ে, আমাদের জনগণের ইপ্সিত সরকারটি গঠন করতে পারবো। এই বৃহৎ স্বপ্নই আমাদের আজ দেখতে হবে। তবে এটা আকাশকুসুম স্বপ্ন নয়, সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাভিত্তিক স্বপ্ন হতে হবে। ১৯০১ সালে রাশিয়াতে যখন বামপন্থিরা নানা মতবাদে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে প্রবল বাদানুবাদে রত ছিলেন তখন তাদের তরুণ নেতা, বয়সে নবীন লেনিন ৮ পৃষ্ঠার একটি ক্ষুদ্র রচনা লিখেন। রচনাটির নাম ছিল “কোথায় শুরু করতে হবে?” (Where to Begin) (সংগৃহীত রচনাবলী, ভ্যলুম-৫, মে, ১৯০১ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯০২, পৃঃ ১৭-২৪) পরবর্তীতে এই লেখাটিকেই আরো প্রসারিত ও বিকশিত করে লেনিন তার বিখ্যাত ক্লাসিক রচনা “What is to be done” লিখেছিলেন। সুতরাং এই লেখাটি ছিল লেনিনের পার্টি গড়ে তোলার ব্যাপারে আদি সাধারণ চিন্তা-বীজ। আমি মনে করি এই ছোট লেখার উপসংহারটি আজকের পটভূমিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষতঃ যেসব দেশে আকস্মিকভাবে হঠাৎ কোনো স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ ঘটেছে– সেখানকার বামপন্থিদের জন্য তা খুবই শিক্ষণীয়। লেনিন স্বর্তঃস্ফূর্ত চেতনার পাশাপাশি সচেতন পরিকল্পিত চেতনার প্রয়োজনটি জোর দিয়ে এখানে তুলে ধরে যা লিখেছিলেন এবং যা ১৯১৭ সালের সফল বিপ্লবের মাধ্যমে ১৫ বছর পর সত্য সত্যই সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল সেটা এখানে তুলে ধরা হলো–: উদ্ধৃতি “উপসংহারে এসে কয়েকটি কথা বলতে চাই যেন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, আমরা ক্রমাগতঃ বলে এসেছি, সুসমন্বিত পূর্বপরিকল্পিত প্রস্তুতির কথা, তবুও কোনভাবেই এটা বোঝানোই আমাদের ইচ্ছা নয় যে স্বৈরাচারী শাসককে (Autocracy) শুধুমাত্র নিয়মিত ঘেরাও (Regular Siege) অথবা সুসংগঠিত আক্রমণ (Organi“ed Assault) দ্বারাই উৎখাত করা যাবে। সে রকম দৃষ্টি ও নীতি হবে একান্তই অবাস্তব এবং তাত্ত্বিক (Absurd and Doctinnaire). এর খুবই সম্ভাবনা রয়েছে এবং ঐতিহাসিকভাবে অনেক বেশিই সম্ভব যে স্বৈরাচারের পতন ঘটবে কোনো এক স্বতঃস্ফূর্ত জনবিক্ষোভের আঘাতে অথবা অভূতপূর্ব কোনো রাজনৈতিক জাটিলতার কারণে–যা স্বৈরাচারকে সর্বদাই চতুর্দিক থেকে আক্রান্ত করে থাকে। কিন্তু যে কোনো রাজনৈতিক দল যে হঠকারী জুয়া (Adventurist Gambles) এড়াতে চায়, সে এধরনের স্বতঃস্ফূর্ত জনবিক্ষোভ বা আকস্মিক রাজনৈতিক জটিলতাকে ভিত্তি করে তার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে পারে না। আমাদের অবশ্যই নিজেদের পথে চলতে হবে, একাগ্রভাবে আমাদের নিজস্ব কাজগুলি চালাতে হবে। আর কম “অপ্রত্যাশিত” কোনো কিছুর ওপর আমাদের নির্ভরতা যতই কম হবে, ততই কম সম্ভাবনা থাকবে অজান্তে কোনো “ঐতিহাসিক বাঁকের” কাছে ধরা খাওয়ার (Caught Unaware)”। (প্রাগুক্ত, পৃঃ ২৪) এই উদ্ধৃতিটি কেন আজ প্রাসঙ্গিক? দেখুন গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে যে গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা বিদায় নিলেন, সেটি যদি আগে থেকে বামপন্থিদের জানার মধ্যে থাকতো এবং শুধু জানা নয়, যদি দীর্ঘ দিনের সচেতন প্রস্তুতির মাধ্যমে অর্জিত শক্তি নিয়ে তারা ঐ “ঐতিহাসিক বাঁকের” মুখোমুখি হতে পারতেন তাহলে কিন্তু তাদের অজান্তে “ধরা খেতে” হোত না। তারা ঘটনার আঘাতে প্রতিক্রিয়া দেখাতেন না, তারা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারতেন। উল্টো দিক থেকে দেখুন—বাংলাদেশের এই ঘটনায় আরেকটি ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট সংগঠনকে দেখুন। যে সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে অনেককাল ধরে গোপনে নিয়মিত কাজ করে “দুর্গ দখলের জন্য” সুপরিকল্পিত ও সুসমন্বিত প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছিল। ফলে ৫ই আগস্ট যখন সুযোগ এলো তখন তারা সেই পূর্বপ্রস্তুতি কাজে লাগিয়ে দ্রুতই সামনে এগিয়ে গেছে। এখন আমরা চাই না চাই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির সেই দক্ষতা ও প্রস্ততি দেখতে পাচ্ছি। তাই লেনিনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আজ এই কংগ্রেসের পর যদি আমরা সত্যিই ভবিষ্যতে উপস্থিত বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে চাই তাহলে আমাদের কংগ্রেস থেকেই শ্রেণিসংগ্রাম ও জাতীয় সংগ্রামের একটি বহুমাত্রিক সুসমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। একাগ্রভাবে আমাদের প্রতিটি সদস্যকে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে সেই পরিকল্পিত কাজগুলো শেষ করতে হবে। প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, যদিও বিপ্লব ঐতিহাসিকভাবেই অনিবার্য, কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির জন্য “তেলে পোকার মত টিকে থাকা” বা “কোনো একদিন বিপ্লব হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাটা” বড় কথা নয়, বড় কথা হচ্ছে “বিপ্লবটা সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা”। কিন্তু সেজন্য ত্যাগ, শৌর্য, বীর্য এবং নিরন্তর কার্য চাই। চাই ঐক্যবদ্ধ অঙ্গীকার। এখনকার কলহ-গোলযোগ-অনৈক্য দেখে হতাশ হলে চলবে না। মনে রাখতে হবে, “লক্ষ্মীপ্যাঁচা সান্ধ্যকালেই উড়াল দেয়”। (The Owl of Minerva flies at Dusk.) লেখক : অর্থনীতিবিদ ও সদস্য, সিপিবি, কেন্দ্রীয় কমিটি