লেনিনের শিক্ষা

Posted: 22 জানুয়ারী, 2017

একতা প্রতিবেদক : রুশ বিপ্লবের মহানায়ক কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন ১৮৭০ সালের ২২ এপ্রিল জারশাসিত রাশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৫৪ বছন বয়সে ১৯২৪ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি মারা যান। বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীর বুকে সর্বাধিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা নভেম্বর বিপ্লব যার মধ্য দিয়ে রুশ দেশে সর্বহারার রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠলো, তার প্রধান নেতা ও সংগঠক ছিলেন কমরেড লেনিন। এই মহান বিপ্লবী সারা জীবন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি মার্কসবাদ মতাদর্শ আত্মস্থ করা এবং তাকে আরো সমৃদ্ধ করার কাজে ঐতিহাসিক অবদান রেখে গেছেন। বিশ্বের দেশে দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন তথা শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী পার্টি হিসাবে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার সংগ্রামে তিনি ছিলেন অবিসংবাদী নেতা। প্রতিবারের মতো এবছরও ভারতসহ বিশ্বের দেশে দেশে শোষিত ও মেহনতি মানুষ কমরেড লেনিনকে স্মরণ করে, তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে পুঁজিবাদী শোষণের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে সংগ্রাম-আন্দোলনকে তীব্রতর করতে এই দিনটিকে নতুন করে শপথ গ্রহণের দিন হিসাবে ব্যবহার করবেন। যে-কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়েও শোষণবিরোধী সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর থাকতে হয় মার্কসবাদীদের। নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে এ কাজ করতে হবে। এটাই হলো কমরেড লেনিনের শিক্ষা। লেনিন মার্কসবাদের মর্মবস্তু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন ‘নির্দিষ্ট পরিস্থিতির সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণই হলো মার্কসবাদের মর্মবস্তু’। আজকের সময়ে লেনিনের শিক্ষা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আমাদের কাছে। এ জন্য লেনিনের শিক্ষা আমাদের আত্মস্থ করতে হবে। এ দেশে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিপ্লবী সংগ্রামকে সফল করার জন্য লেনিনের শিক্ষাকে আত্মস্থ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। লুটেরা বুর্জোয়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার লড়াই অগ্রসর করতে হবে। শোষণভিত্তিক সমাজকে শোষণহীন সমাজে রূপান্তরিত করার যে মহান সংগ্রামে কমিউনিস্টরা যুক্ত রয়েছেন- সেই সংগ্রামে কমরেড লেনিন আমাদের প্রকৃত শিক্ষক। প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করার সাহস অর্জন করে, শত্রুর সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করে জয় ছিনিয়ে আনার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে কিভাবে অগ্রসর হতে হবে সে ব্যাপারে মহান শিক্ষক কমরেড লেনিন।