পেশা যখন শিক্ষকতা
Posted: 04 সেপ্টেম্বর, 2016
আকমল হোসেন: মনীষী সক্রেটিস এর ভাষায়- “পৃথিবীটা একটা নাট্যমঞ্চ। জগতের সকল মানুষই পৃথিবী নামক নাট্যমঞ্চের অভিনেতা। প্রত্যেক মানুষের পদ ও পদবির আলোকে তার রোল-প্লে থাকে। এটার ব্যতিক্রম হওয়াই একটা সমস্যা।” বাঙালি প্রবাদে বলে আগে দর্শনদারী পরে গুণবিচারী। কাঁধে ঝুঁড়ি হাতে বাঁশি দেখলেও তাকে যেকেউ বলবে তিনি সাপুড়ে। রাজমিস্ত্রি মানেই কন্যে, কড়াই, গজকাঠি; খেতমজুর মানেই কাস্তে মাথাল ইত্যাদি। এই যদি হয় পেশার দর্শনদারীতত্ত্ব তাহলে মানুষ গড়ার কারিগর অথবা দ্বিতীয় জন্মদাতা শিক্ষকের দর্শনদারীর কি হবে? আর গুনবিচারীরই কি হবে? সেটা গুরুত্বপূর্ণ। বাট্রান ও রাসেল এর জবাব দিয়েছেন। তাদের মতে, শিক্ষকের কাজ দুটি। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তোলা, দ্বিতীয়ত, সেই আগ্রহ নিবৃত করা। কাজ দুটি বাক্যের মধ্যে যত সহজভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, প্র্যাকটিকেলি ততটা হয়তো সহজ নয়। সহজ নয় বলেই এ পেশার নাম শিক্ষকতা। আর যারা এটা সহজ করতে পেরেছেন তারাই শিক্ষক, তাদের পরেই মাথানত করে তার শিক্ষার্থীরা। বেনামের ভিড়ে খাটি যাচাই করা কঠিন, তারপর শিক্ষকসমাজ আজও সম্মানের যে জায়গায় অবস্থান করেছেন, টাকা আয় অর্থ বৃত্তে সেটা হওয়ার নয়। কারণ নার্সের সেবায় বিনিময় মূল্য আছে, অর্থের পরিমাণ যোগ্য ও কিন্তু মায়ের সেবায় অর্থ মূল্য যোগ্য নয়। মায়ের সেবায় অর্থ মূল্যে বিবেচনায় করলে মায়ের প্রতি ঐ শ্রদ্ধা হয়তো থাকবে না। শিক্ষকের ক্ষেত্রে ঠিক একই উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে প্রকৃতির অপার লীলা, বৃহৎজগৎ এখনও মানুষের জানার বাইরে। হাজারো কোটি প্রাণবৈচিত্র্যে এখনও মানুষের সর্বত্রই এবং ‘‘মানুষ জ্ঞানের আধার।’’ মানুষ ছাড়া বিশ্ব জগৎ অচল। মানুষের সৃষ্টি মানুষ প্রকৃতিকেই সাজিয়েছে আপন মনে। মানুষের প্রয়োজনে মানুষের দ্বারাই সজ্জিত হয়েছে বিশ্ব জগতের নানামুখি কর্মকাণ্ড। এর মাঝেও মানুষরূপী অমানুষের দ্বারা মানবতাবিরোধী অনেক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণহীন গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে, পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্য করতে এসেছে নানান তন্ত্র, মন্ত্র, ধর্ম ও আইন। প্রাণ নিয়ে ভূমিষ্ট হওয়া মানব সন্তানকে মানুষ করতে (জ্ঞানী প্রাণী) নানামুখি শিক্ষা এবং অনুশীলনের আর্বিভাব। জৈবিক চাহিদা নিয়ে জন্ম নেয়া আদম সন্তানদের প্রাণির বিরুদ্ধে মনুষ্যত্ব অর্জনে অভ্যুদয় ঘটেছিল শিক্ষার। ক্ষুধা, প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া প্রদান, শীত-গ্রীষ্মের অনুভূত আর বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার নিজস্ব তাগিদ থেকে অবচেতন মনেই সে কিছু বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেছিল। শিক্ষার অন্যতম একটি লক্ষ্য বাস্তবায়নের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে চলার ক্ষমতা অর্জন। বন্য জীবজন্তু থেকে রক্ষা পেতে এবং খাদ্যের প্রয়োজনে দলবদ্ধভাবে বসবাস থেকে মানুষের মধ্যে যে সামাজিকতার সৃষ্টি হয়েছিল তা আজও বিদ্যমান, তবে ভিন্ন প্যাটানে। শহরে নগর জীবনের ক্ষেত্রে এর কিছু ব্যতিক্রম, গ্রামভিত্তিক জীবনে এটা এখনও সচল এবং ব্যাপক। দূর্গম গিরিপথ আর সাগর নদীর তলদেশে আবাসন আর যাতায়াতের উন্নত ব্যবস্থা। শিক্ষার জগতে হাজারগুণ উন্নতি তারপরও মায়ের শিক্ষাই শিশুর আদি এবং অকৃত্তিম। মায়ের শিক্ষা পারিবারিক শিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। কিন্তুু শুরুটা মায়ের কাছ থেকে তারপর পরিবার এবং সমাজ, সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার বিষয়বস্তুু হিসেবে প্রথমেই যে বিষয়টি এসেছিল সেটি হলো প্রকৃত ঘটনা, বাঙালি প্রবাদে তার নিদর্শন পাওয়া যায়, কোথায় শিখি-যেথায় ঠেকি। এটাই হলো শিক্ষার মূল জায়গা। এর পর এসেছে অলৌকিতা/ভাববাদ। ভাববাদী দর্শন নিয়েই প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার যাত্রা। পৃথিবীর বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ইতিহাস তেমনটাই প্রমাণ করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং তাদের জীবন ও জীবিকা সেই সাথে সুন্দর ভবিষৎ গড়তে নতুন চিন্তা হিসেবে যুক্তি/দর্শন এর পর সেটা আরও আধুনিক ও যুক্তিবাদী করতে বিজ্ঞানকে শিক্ষার বিষয়বস্তু হিসেবে গ্রহণ করেছে। যারা এটাকে গ্রহণ করেছে তারা সামনে এগিয়েছে, আর যারা সেটা গ্রহণ করেনি তারা অনেক পিছিয়ে আছে। বর্তমান পৃথিবীতে ৭০০ কোটি মানুষ। এরপরও বাড়তেই থাকবে। এদের নানামুখি চাহিদা বাড়বে। তবে প্রকৃতিতে সেই হারে সম্পদ বাড়ার সুযোগ নেই। ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর নানামুখি চাহিদা মিটাতে প্রকৃতির এই সম্পদের নানামুখি ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। আর এর জন্যই প্রয়োজন শিক্ষা এবং সেই শিক্ষাকে হতে হবে যুগের চাহিদা মিটানোর ক্ষমতা। সেই কারণে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমন হতে হবে যেন সে যুগের চাহিদা মিটাতে পারে। আর যারা এই শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখবেন তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা এবং ক্ষমতা অর্জন জরুরি। শিক্ষাকতা আর পাঁচটি পেশার মত গতানুগতিক কোন কাজ নয়। বস্তুুগত জিনিস দেয়ার বিষয়ও নয়। কাদামাটি দিয়ে কুমার যেমন বিভিন্ন আকৃতির তৈজসপত্র নির্মাণ করেন, শিক্ষককেও সেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। প্রাণিত্বকে মনুষ্যতে পরিণত করার কাজটি কিন্তু এতো সহজ নয়, শিক্ষককেই সেই কঠিক কাজটি সহজ করতে হয়। এ জন্য সমাজ, রাষ্ট্র এবং শিক্ষকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শ্রেণিকক্ষে কার্যকর পাঠদান নিশ্চিত করতে যেমন শিক্ষক, শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষের সমন্বয় প্রয়োজন, সেই সাথে অভিভাবক, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের ভূমিকাও আছে। বিষয়গুলির মধ্যে সুষম সমন্বয় না হলে কাজটি যথাযথভাবে হবে না। শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি মনোযোগী এবং আগ্রহী হওয়া যেমন জরুরি তেমনি শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি কৌতুহল সৃষ্টি এবং নিবৃত্ত করা। কাজ দুটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর হলেও এর সাথে জড়িত শিক্ষার পরিবেশ। করা এর জন্য প্রয়োজন অভিভাবকের সার্বক্ষণিক তদারকি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব শ্রেণিকক্ষ পাঠের উপযোগী করা। সেই সাথে শিক্ষার সাথে যুক্ত সকল লজিস্টিক নিশ্চিত করা। সর্বশেষ আর্থিক চাহিদা পূরণে অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সরকারকে ভূমিকা নেয়ার সাপোর্ট। শিক্ষার উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নে স্বাধীন বাংলাদেশে অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ আকারে ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য মানবতার বিকাশ এবং জনমুখি উন্নয়ন ও প্রযুক্তিতে নেতৃত্বদানের উপযোগী মননশীল। যুক্তিবাদী, নীতিবান নিজের এবং অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কুসংকারমুক্ত, পরমসহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক দেশপ্রেমিক ও কর্মকুশল নাগরিক গড়ে তোলাও শিক্ষার অন্যতম শর্ত। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার বৈশিষ্ট্য ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির উপরোক্ত উদ্দেশ্যগুলি বাস্তবায়নে কতগুলি বিষয় নিশ্চিত করা জরুরি। এর মধ্যে শিক্ষার দর্শন অন্যতম। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু কতগুলি বিষয় মুখস্থ করিয়ে বড় বড় ডিগ্রি অর্জন নয়। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির আচরণ পরিবর্তন সেই সাথে সে আচরণ হবে দেশ, জাতি ও মানুষের স্বার্থে মানুষের কল্যাণের জন্য। এই জন্য শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা দরকার শিক্ষার বিষয়বস্তু কি হবে? কেন হবে এবং কিভাবে সেটা অর্জন করা সম্ভব? সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এর পর প্রয়োজন শিক্ষা নামক মৌলিক অধিকারটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন। জনগণের খাজনা ও কর নিয়ে থাকে সরকার। করেরও অর্থ থেকেই রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন, স্থানীয় বিত্তশালী এবং শিক্ষা অনুযায়ী তাদেরও শিক্ষায় অর্থায়নে এগিয়ে আসা দরকার। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ডিবিশনে সরকার প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থায়ন হলে শিক্ষার সংখ্যাগত মানই শুধু নয়, গুনগত মানও বৃদ্ধি কর্রা সম্ভব। শিক্ষা এক ধরনের দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ, যেখানে থেকে একটি সময় পর কোন ধরনের বিনিয়োগ ছাড়াই সুফল পাওয়া সম্ভব। এর পর জরুরি প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। দলীয় এবং গোষ্ঠী সার্থের বিবেচনা পরিহার করে যোগ্য অভিজ্ঞ ও স্বচ্ছ এবং ডায়নামিক লোকদের শিক্ষা প্রশাসনে আনা দরকার। গভর্নিং বডি থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রশাসনের সকল স্তরে। যোগ্য, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ লোকদের প্রয়োজন শিক্ষক নিয়োগে মেধাবীদের উৎসাহিত করতে আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা থেকে সম্মানের জায়গাতেও গুরুত্ব দেয়া। বিত্তনির্ভর সমাজের বিপরীতে জ্ঞাননির্ভর সমাজ বিকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই শিক্ষার পরিবেশ যেমন নিশ্চিত হবে, সেই সাথে দেশের উন্নয়নে মালয়েশিয়া, চীন ও কোরিয়ার মত বাংলাদেশও হতে পারবে উন্নত রাষ্ট্র। শিক্ষার দর্শন, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নের কাজে যারা নিয়োজিত থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম শিক্ষক সমাজ। সেই কারণেই শিক্ষক সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষক সমাজ সেই গুরুদায়িত্ব পালন করবেন এমনটা আশা করাই স্বাভাবিক। সে দিক থেকে সমাজের আর ৫টি পেশা থেকে শিক্ষকতা একটি ভিন্ন পেশা, এবং এর মর্যাদাও ভিন্ন। সেক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা যতই কম হোক। বিশ্বায়নের এ যুগে আর্থ-সামাজিক অবস্থায় এবং ১৯৬৬ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল বিষয়ের আলোকে আমাদের দেশের শিক্ষক সমাজ বঞ্চিত। শিক্ষার সংখ্যাগত ও মানগত উন্নয়নে শিক্ষকদের স্বার্থবিবেচনা করা জরুরি। বিষয়টি সমাজ ও রাষ্ট্রকে দেখতে হবে। শিক্ষকদের পেশার আলোকে তাদেরও বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। তারা জাতি গড়ার দায়িত্ব নিয়েই এ পেশাতে এসেছেন। নিজে কম সুযোগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করবেন এমন মানসিকতা থাকা উচিত নয়। শিক্ষক দ্বিতীয় জন্মদাতা, বাবার সমতুল্য এবং জাতিগড়ার কারিগর। ভেজালের ভিড়ে খাটি মানের অনিশ্চয়তা থাকলেও শিক্ষকরা আজও সমাজের চোখে মর্যাদা পান। সেটি মোটেই উপেক্ষার নয়। সব কিছুতেই অর্থ মূল্যে হিসাব হবে না। মাপা যায় না। আর্থিক মূল্যে সব কিছুকে না মেপে ব্যবহারিক মূল্যে বিচার করলে মানসিক দুচিন্তা অনেকটাই লাঘব হতে পারে। এর জন্য শিক্ষকদের শুধু শিক্ষার্থীর স্যার হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকলেও চলবে না। তাদেরকে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশ জাতি ও মানুষের স্বার্থে দাঁড়াতে হবে, সামাজিক ভূমিকা রাখতে হবে, নিজেদের মেরুদণ্ডটি সোজা করে রাখতে হবে।
ব্যক্তি ও দলীয় সাথে শিক্ষক সমাজ যেন তার পেশাদারিত্বকে ত্যাগ না করে। ক্লাসের অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে অনেকেই অনেক মতের ও পথের হতে পারে, সে জন্য কারো প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ যেমন শিক্ষকের জন্য শোভনীয় নয়, তেমনি মানসিক গুণাবলির শিক্ষা থেকে কাউকে বঞ্চিত করাও উচিৎ হবে না। নানা বঞ্চনার পরও শিক্ষক সমাজ সমাজে যেভাবে সমাদৃত সেটাই কম কিসে? নিজে বঞ্চিত হওয়ায় কারণে অন্যকে বঞ্চিত করবো এমনটা শিক্ষকেরও জন্য উচিৎ হবে না। সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করলে সমাজ ও দেশ শিক্ষকদের স্বার্থ দেখবেন, হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে সেটা সম্ভব নয়, তবে ধৈর্য্য ধরতে হবে। পেশাদারিত্ব রক্ষা করে শিক্ষকদের বঞ্চনা লাঘবে সক্রিয় হতে হবে, তবে নিজ দায়িত্বকে অবহেলা করে নয়।
লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সমিতি।