একতা ডেস্ক :
“একটা চিঠি লিখি তোমার কাছে ব্যথার কাজলে/আশা করি পরাণ বন্ধু আছো কুশলে/আগে নিও ভালোবাসা অবলার না বলা ভাষা/আমার যত গোপন আশা ভিজাইয়া দেই নয়ন জলে”।
লোকগানের একটি ধারার নাম কবিগান, আর এই গানের গায়ককে বলা হয় কবিয়াল। কবিগান মূলত প্রতিযোগিতামূলক গান; আর এর জন্য দরকার হয় ধর্মশাস্ত্র বিষয়ে জ্ঞান, গানের গলা, গান ও ছড়া বাঁধার শক্তি, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, অভিনয় দক্ষতা, ছন্দে ছন্দে কথা বলার ক্ষমতা এমনকি শারীরিক ভাষাও। এটি সংগীতের সৃজনশীল ধারা। বিজয় সরকার মূলত এই কবিগানের একজন পেশাদার শিল্পী। আর এজন্যই তিনি কবিয়াল বা লোককবি।
বিজয় সরকার ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৪ঠা ফাল্গুন, ১৯০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার পল্লী ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম নবকৃষ্ণ বৈরাগী এবং মাতা হিমালয় কুমারী বৈরাগী। দশ ভাইবোনের মধ্যে বিজয় সরকার ছিলেন সবার ছোট।
বিজয় সরকারের শিক্ষাজীবন শুরু হয় জ্যাঠাতুত ভাই অভয় চন্দ্রের বাড়িতে। সেখানে কিছুদিন লেখাপড়ার পর তিনি গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি হন। পাঠশালায় অধ্যয়ন শেষ করে বিজয় ভর্তি হন হোগলাডাঙ্গা ইউ, পি, স্কুলে এবং পরবর্তীতে বাঁশগ্রাম এম. ই. স্কুলে। এখানে কিছুদিন পড়াশোনার পর তিনি ভর্তি হন সিংগাশোলপুর কে. পি. ইনস্টিটিউশনে। তখনই বিজয়ের পিতা মারা যায় এবং আর্থিক সংকটে পড়ে তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়।
অন্নের সন্ধানে ছুটে চলা বিজয় সংসারের দুঃখকে জয় করতে কর্মজীবন শুরু করেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে। এরপর কিছুদিন গোপালপুর কাচারিতে নায়েবের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯২৫ সালে, তিনি গোপালগঞ্জের কবিয়াল মনোহর সরকার এবং রাজেন্দ্রনাথ সরকারের সংস্পর্শে আসেন এবং কবিগানকেই নেশা ও জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করেন।
দিল্লি, কলকাতা, ঢাকার বাংলা একাডেমি, খুলনা বেতার কেন্দ্র, ঢাকা বেতার কেন্দ্র, বিটিভিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসরে ও মিডিয়ায় সঙ্গীত পরিবেশন করতেন।
বাল্যকাল থেকে তিনি ছিলেন ভাবুক প্রকৃতির। মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি পেরোতে না পারলেও স্কুলজীবন থেকেই তিনি গান রচনা ও সুর করে নিজে গাইতেন। পাঠশালার শিক্ষক নেপাল বিশ্বাস এর উৎসাহ ও প্রশিক্ষণেই বিজয় সরকারের সংগীত জীবনের ভিত্তি রচিত হয়।
শিশুকাল থেকে তার প্রতিভায় তৎকালীন সময়ে বিখ্যাত লোককবি মনোহর সরকার মুগ্ধ হন। ১৯৩৩ সালে বিজয় সরকার ফরিদপুরের দুর্গাপুর গ্রামের মানোহর সরকারের বাড়িতে কবিগানের দীক্ষাগ্রহণের জন্য যান এবং সেখানে দীর্ঘ দুই বছর শিক্ষালাভ করেন। পরবর্তীতে রাজেন সরকারের নিকটও বছরখানেক কবিগানের শিক্ষালাভ করেন। এছাড়াও কিশোর বিজয় সংগীতচর্চার পাশাপাশি গ্রামে মঞ্চস্থ বিভিন্ন যাত্রায়ও অংশগ্রহণ করতেন।
জাতি ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে থেকে এই চারণ কবি প্রায় দুই হাজার বিজয়গীতি রচনা করেন। যার মধ্যে রয়েছে বিচ্ছেদি গান, শোকগীতি, আধ্যাত্মিক গান, দেশের গান, কীর্তন, ধর্মভক্তি, মরমি গান। এরমধ্যে প্রায় ৪০০ সখি সংবাদ এবং ধুয়া গান রচনা করেন। তার কিছু কাজ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতে তিনি আনুমানিক ৪০০০ আসরে কবিগান পারিবেশন করেন। এছাড়া তিনি রামায়ণ গানও পরিবেশন করতেন। এই যশস্বী শিল্পীর দরাজ কণ্ঠের কবিগান শুনে অনেক গুণীজন মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি একাধিকবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, বিশ্বনন্দিত চারণ শিল্পী এস. এম সুলতানসহ অসংখ্য গুণীজনের সান্নিধ্য লাভ করেন।
১৯৩৫ সালে কলকাতার এ্যালবার্ট হলে কবিগানের এক আসর বসে। ওই আসরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসিম উদদীন, কবি গোলাম মোস্তফা, কণ্ঠশিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিজয় সরকারের গান শুনে মুগ্ধ হন এবং আশীর্বাদ করেন।
১৯৩৭ সালে কলকাতার বিধান স্ট্রিটের রামকৃষ্ণ বাগচী লেনের এক দ্বিতল বাড়িতে কবি গোলাম মোস্তফা, কবি জসীম উদদীন ও গায়ক আব্বাস উদ্দীনের সাক্ষাৎ লাভ করেন। বিজয় সরকার এই স্মরণীয় মুহূর্তে এই বিচ্ছেদ গানটি পরিবেশন করে তাঁদের অভিভূত করে দিয়েছিলেন। গানটির কিছু অংশ :
“সজনী ছুঁসনে আমারে/ গৌররূপে নয়ন দিয়ে আমার জাত গিয়েছে/ আমাকে স্পর্শ করিসনে যার কুল মানের ডর আছে”।
১৯৮৩ সালে কলকাতা থেকে বিজয় সরকার রচিত ২৭০টি গান নিয়ে বিজয় সরকারের গানের সংকলন প্রকাশিত হয়। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান বিজয় সরকারের একান্ত প্রিয় বন্ধু। সুলতান প্রায় ছুটে যেতেন কবিয়ালের বাড়িতে। বিজয় সরকারের ভাবধারা ও সংগীত প্রসঙ্গে পল্লীকবি জসিম উদদীন বলেছেন, “মাঝে মাঝে দেশীয় গ্রাম্য গায়কদের মুখে বিজয়ের রচিত বিচ্ছেদ গান শুনিয়া পাগল হই। এমন সুন্দর সুর বুঝি কেহই রচনা করিতে পারে না।”
ফকির লালন শাহ্ এর “বাড়ির কাছে আরশি নগর” এবং জসীম উদদীনের “নকশী কাঁথার মাঠ” নিয়েও তিনি গান লিখেছেন। “নকশী কাঁথার মাঠেরে-/সাজুর ব্যথায় আজও বাজে রূপাই মিয়ার বাশের বাঁশি/তাদের ভেঙে গেছে আশার বাসা/তবু যায়নি ভালো বাসাবাসি।”
১৯৩৭ সালে ১ অক্টোবর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে কবিয়াল বিজয় সরকার কবিগান পরিবেশন করে খ্যাতিমান ছয়জন বরেণ্য পন্ডিতের যুক্ত সনদ লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার “ভারতীয় ভাষা পরিষদ” তাকে সংবর্ধিত করে। এ অনুষ্ঠানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. আশুতোষ ভট্টাচার্য, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. দেবীপদ ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ধারা কবিগানের উৎকর্ষ সাধনে বিজয় সরকারের অবদান অসামান্য। তাই এই অবদানের সম্মানস্বরূপ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।
বিজয় সরকার-এর পারিবারিক উপাধি ছিল বৈরাগী। তিনি নিজে বৈরাগী উপাধি ত্যাগ করে অধিকারী উপাধি গ্রহণ করেন। কবিয়াল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করার পর তিনি বিজয় সরকার নামে পরিচিত হন।
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধের পর থেকে ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কবিয়ালদের প্রতিষ্ঠা চরমে উঠেছিল। যদিও তার পূর্বে ও পরে একাধিক শতাব্দিজুড়ে কবিগানের বিস্তৃতি ঘটে। কবিগানের উৎপত্তি সম্বন্ধে সজনীকান্ত দাস বলেন-‘‘বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়ে প্রচলিত তরজা, পাঁচালী, খেইড়, আখড়াই, হাফ, দাঁড়া-কবিগান, বসা-কবিগান, ঢপ্কীর্তণ, টপ্পা, কৃষ্ণযাত্রা প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়ের সংমিশ্রণে কবিগান জন্মলাভ করে। কবি বলতে এখানে বুঝানো হয় যে, অশিক্ষিত, কিন্তু বেদ-পুরাণ, রাজনীতি-ইতিহাস সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল স্বভাবকবি। এই কবিকে কবিয়ালও বলা হয়। কবিগানের আসর হলো দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কবির সুর ও তাল সহযোগে তৎক্ষণাৎ পদ্যরচনা বিতন্ডা। অর্থাৎ একদল প্রথমে একটি বিষয়ে গাইবে পরে অপরদল তার গানের মধ্য দিয়ে উত্তর দিবে। প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, অনুপ্রাসের ব্যবহার, সরস রাগবিস্তার, যুক্তিজাল করে অপর পক্ষকে আক্রমণ এবং আপন বক্তব্যের প্রতিষ্ঠা-প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে কবিয়ালার হার-জিত হয়। বিতর্কের উত্তেজনা অনুসারে গানে ব্যবহৃত ঢোল, কাসি, মন্দিরা, করতালের আওয়াজ ও লয়ের তারতম্য ঘটে। তখনকার দিনে কবিগান ছিল অশ্লীলতাযুক্ত গেঁয়ো মুর্খদের গান। যে গান নারী-পুরুষ একত্রে বসে শোনার উপযোগী ছিল না। জনসাধারণের মনোরঞ্জনের জন্য সৃষ্ট কবিগান সে যুগের হঠাৎ কবিদের ‘সাময়িক কীর্তন’। এরা লিখিতভাবে কাব্য রেখে যাননি কারণ সভাস্থলে কবিদের ‘‘চাপান (ওহঃৎড়ফঁপঃরড়হ) ও উত্তর ’’ রচনা করতে হতো। কবিয়ালরা আসরে দাঁড়িয়ে গান রচনা করতে গিয়ে শব্দ প্রয়োগে এমন দিশেহারা হয়ে উঠতেন যে, বাক্য প্রয়োগের উদ্দেশ্যও যেন তারা ভুলে যেতেন। কবিয়াল বিজয় সরকার নরসিংদীর হরিচরণ আচার্য ও রাজেস সরকারের অনুসারী হয়ে কবিগান সংস্কারে মনোনিবেশ করেন। প্রাচীন কবিয়ালেরা যেখানে দেহলোলুপ, নায়িকা রাধার প্রতি সন্দেহভাজন; তারা অপ্রকৃত প্রেমসংগীত রচনা করতে গিয়ে সংশয়াদগ্ধ গীতি রচনা করেছেন, আধুনিক কবিয়াল সমাজের প্রতিভূ কবিয়াল বিজয় সরকার সেখানে দেহাতীত প্রেমের অপূর্ব সুষমামন্ডিত পদ রচনা করেছেন। যা তাঁর বিখ্যাত সখিসংবাদ সংগীতাংশে পাওয়া যায়– ‘‘কৃষ্ণ মিলন লাগি নিশি জাগি বাসর ঘরে/মিলন নিশি হইলো ভোর/এলো না শ্যাম কিশোর॥’’
কবিয়াল হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি সংসার বিবাগী, উদাসী বা আখরাবাসী ছিলেন না। তিনি পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার ভক্তবাদী নরনারীর আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। জীবনের শেষদিকে লোকদের ধর্মীয় উপদেশ ও দীক্ষা দিয়ে সময় কাটাতেন। তবে দীক্ষার বিনিময়ে তিনি শিষ্য-শিষ্যাদের নিকট থেকে কোনো অর্থ গ্রহণ করতেন না।
বিজয়ের তিরোধানের পর ভারত থেকে জনৈক বাসুদেব গোলকার শ্রী শ্রী পাগল বিজয়ামৃত পুস্তক প্রকাশ করেছেন, সেখানে জনৈক বাঙালি মুসলিম (বাংলাদেশের অধিবাসী)-এর চোখ অন্ধ হয়ে গেলে বিজয় তাঁর নিজের চোখ দুটো দান করে তাকে দৃষ্টিদান করেন এবং নিজে চিরকালের জন্যে অন্ধত্ববরণ করেন বলে জানা যায়।
বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলাদেশে কবিগানের উৎকর্ষ সাধন ও একে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে বিজয়ের অবদান অসাধারণ। কবিগানের সময় ভাটিয়ালি সুরে রচিত তাঁর ধুয়া গান তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। সারাজীবনে তিনি মূলত দুটো ধারার গান পরিবেশন করেছেন- কবিগান ও রামায়ণ গান। মাঝেমধ্যে জারিয়ালদের সঙ্গে কবি-জারির পাল্লাও করেছেন। বাংলা সংগীত জগতে কবিয়াল বিজয় সরকার কবিগানকে বিশেষরূপে উপস্থাপন করেন। তাঁর কবিগান নিরপেক্ষ নবতর সংগীত হিসেবে শ্রোতাদের প্রাণে এক নব চেতনার উন্মেষ ঘটায়। এছাড়া বিজয়ের নিরপেক্ষ স্বরবৃত্ত ছন্দের অপূর্ব কবিগান সংগীতজগতে রেনেসাঁর সৃষ্টি করে। এ প্রসঙ্গে তাঁর একটি ভবানীবিষয়ক গানের অংশবিশেষ-
‘‘ওমা ব্রক্ষ্মময়ী তোর ব্রক্ষ্মাণ্ডে ধর্ম ফলে কর্মকাণ্ডে/প্রতি ভাণ্ডে অতি বিস্ময়ের/মানুষ স্বকর্মে করে কসুর, স্বভাবের মাঝে অসুর/কর্মে মধুর সাজে নারী-নর॥’’
পরে তিনি ভাটিয়ালী সুরের সঙ্গে বাউল সংগীতের অন্তর্ধর্ম মিশিয়ে এক নতুন ধরনের গান আমাদের উপহার দেন, যা আমাদের লোকসংগীতের বিশাল বৈচিত্র্যময় আঙিনায় একটি পৃথক ঘরানার সৃষ্টি করেছে। এই গানগুলোকে বিচ্ছেদ ভাটিয়ালী গান বলে ধরে নেওয়া হয়। বিজয়ের গানগুলো শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব শ্রেণির মানুষের হৃদয়স্পর্শী। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা প্রায় পৌনে চারশত। তিনি মূলত রাধাবিচ্ছেদ, কৃষ্ণবিচ্ছেদ, বারাষিয়া, সারি, ধুয়া, অষ্টকগান, পদকীর্তন, ইসলামী গান, ডাকগান, সখি সংবাদ, গোষ্ঠগান, কবিগান প্রভৃতি রচনা করেন। কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদদীন, আব্বাস উদ্দীন আহমদ প্রমুখ মনীষীর সঙ্গে বিজয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল।
বিজয় সরকার দীর্ঘ প্রায় ৫৫ বছর সঙ্গীতসাধনা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলা একাডেমী ও শিল্পকলা একাডেমীতে সঙ্গীত পরিবেশন করে বহু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর এই কবিয়ালের জীবনাবসান হয়।